Summary
একটি তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহের একটি সীমা রয়েছে, যা I I2R দ্বারা নির্ধারিত হয়। শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরির জন্য একক বৃত্তাকার লুপের পরিবর্তে, অপরিবাহী আস্তরণের সাহায্যে বহুবার প্যাঁচিয়ে একটি কুণ্ডলী তৈরির প্রয়োজন পড়ে, যা সলিনয়েড নামে পরিচিত। এই কুণ্ডলীর কারণে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় এবং সম্মিলিত চৌম্বক ক্ষেত্র অনেক গুণ শক্তিশালী হয়।
বৃত্তাকার তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে, তার চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক জানার জন্য ডান হাতের নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। বুড়ো আঙুল যদি বিদ্যুতের প্রবাহের দিক দেখায়, তাহলে অন্যান্য আঙুলগুলো চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্দেশ করে। তার কুণ্ডলী বা সলিনয়েড একটি দণ্ড চুম্বকের মতো কাজ করে, যেখানে বুড়ো আঙুল চুম্বকের উত্তর মেরু নির্দেশ করে।
একটা তারের ভেতর দিয়ে কতখানি বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা যায় তার একটা সীমা আছে, তারটা I হিসেবে পরম হয়ে যায় তা ছাড়াও সবচেয়ে বেশি কতখানি বিদ্যুৎ প্রবাহ দেওয়া সম্ভব সেটা বিদ্যুতের উৎসের ওপর নির্ভর করে। তাই যদি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে হয় তাহলে একটা মাত্র বৃত্তাকার লুপ-এর ওপর নির্ভর না করে অপরিবাহী আস্তরণ দিয়ে ঢাকা তার দিয়ে অনেকবার প্যাঁচিয়ে একটা কুণ্ডলী বা কয়েল তৈরি করা হয়। এরকম কুণ্ডলীকে বলে সলিনয়েড। সেই কুণ্ডলী দিয়ে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করা যায়। কয়েলের প্রত্যেকটা সুপই তার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুতের জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করবে, তাই সম্মিলিত চৌম্বক ক্ষেত্র হবে অনেক গুণ বেশি।
বৃত্তাকার তারের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তার চৌম্বক ক্ষেত্র কোন দিকে হবে সেটাও ডান হাতের নিয়ম দিয়ে বের করা যায়। বুড়ো আঙুলটি হবে চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক যদি অন্য আঙুলগুলো বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক দেখায়। একটা তারের কুণ্ডলী বা সনিয়েড আসলে দণ্ড চুম্বকের মতো কাজ করে এবং বুড়ো আঙুলের দিকটা হবে এই চুম্বকের উত্তর মেরু ।
একটা তারের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তার জন্য তৈরি হওয়া চৌম্বক বলরেখাগুলোর দিক কোন দিকে হবে সেটা ডান হাতের নিয়ম দিয়ে বের করা যায়। বুড়ো আঙুলটা যদি বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক দেখায় তাহলে হাতের অন্য আঙুলগুলো চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকটি নির্দেশ করে।